
রাজধানীর বিজয়নগরে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। ছবি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা।
জাতীয় নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে—এমনটা মনে করে গণ অধিকার পরিষদ। তাই তাদের দাবি, আগামী জানুয়ারি মাসেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলছে।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বিজয়নগরে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন দলটি এই দাবি জানায়।
ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা ও দাবি
’দেশের সাম্প্রতিক নানা অঘটন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চক্রান্ত ও চলমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন:
- এক-এগারো চক্রান্ত: “নির্বাচন বানচালের জন্য সাম্প্রতিককালে অগ্নিসংযোগে লিপ্ত হয়েছে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা। এভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে আরেকটি এক–এগারো সৃষ্টির চক্রান্ত শুরু হয়েছে।”
- নির্বাচনের সময়: “নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে। সুতরাং আগামী জানুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানাচ্ছে গণ অধিকার পরিষদ।”
- সনদ বাস্তবায়ন: দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই ‘জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’ জারি করে এর আইনি ভিত্তি দিতে হবে।
প্রশাসনের প্রতি দাবি
রাশেদ খান সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য প্রশাসনের প্রতিও বেশ কিছু দাবি জানান:
- শাস্তি: ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা, ডিসি, এসপি, ইউএনও ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
- দল নিষিদ্ধকরণ: নির্বাচন কমিশনকে পরিষ্কার করতে হবে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেউ নির্বাচনে কোনোভাবেই অংশ নিতে পারবে না এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলও নির্বাচন করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের মতো তাদেরও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।