
টেলিভিশন বিতর্কে নিউইয়র্কের তিন মেয়র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমো (বাঁয়ে), কার্টিস স্লিওয়া (মাঝখানে) ও জোহরান মামদানি। ১৬ অক্টোবর ২০২৫, নিউইয়র্কছবি: রয়টা
এএফপি, নিউইয়র্ক।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বীরা গতকাল বৃহস্পতিবার ‘চরম উত্তেজনাপূর্ণ’ এক বিতর্কে অংশ নেন এবং একে অন্যের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। আগামী ৪ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে টেলিভিশনে এটি ছিল দুটি সরাসরি বিতর্কের প্রথমটি।
নির্বাচনে জনমত জরিপে এগিয়ে থাকা ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী জোহরান মামদানি, স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমো (সাবেক গভর্নর) এবং রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়া এই বিতর্কে অংশ নেন।
বিতর্কের মূল আক্রমণ
- জোহরান বনাম কুমো: জোহরান প্রতিদ্বন্দ্বী কুমোর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন কেলেঙ্কারি এবং কোভিড মহামারির সময় ‘নার্সিং হোমে বয়স্কদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার’ মতো বিতর্কিত প্রশাসনিক রেকর্ড নিয়ে কড়া আক্রমণ করেন।
- স্লিওয়া বনাম দুজন: স্লিওয়া তাঁর দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এই শহরে অপরাধের সংকট তারাই সৃষ্টি করেছেন।’ তিনি পরে মন্তব্য করেন, ‘এই কক্ষে অনেক বেশি পৌরুষের দাপট (টেস্টোস্টেরন) চলছে।’
- হামাস ও ইহুদি সম্প্রদায়: বিতর্কের তীব্র বাক্যবিনিময় ঘটে নিউইয়র্কে বসবাসরত উল্লেখযোগ্য ইহুদি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে। কুমো অভিযোগ করেন, জোহরান মামদানি হামাসের নিন্দা করেননি এবং ‘ইন্তিফাদাকে বিশ্বায়ন করো’ স্লোগানকে সমর্থন করেছেন, যার অর্থ ‘সব ইহুদিকে হত্যা করো’। জোহরান মামদানি তাৎক্ষণিকভাবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।

নিউইয়র্ক নগরের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোর (বাঁয়ে) সঙ্গে হাত মেলান ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। ১৬ অক্টোবর ২০২৫, নিউইয়র্ক
ছবি: এএফপি।
জরিপ ও প্রধান ইস্যু
- জরিপে অবস্থান: কুইনিপিয়াক ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ জরিপে জোহরান মামদানি ৪৬% সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছেন। এরপর কুমো ৩৩% এবং স্লিওয়া ১৫% সমর্থন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
- ট্রাম্পের প্রভাব: ট্রাম্প জোহরানকে ‘কমিউনিস্ট’ আখ্যা দিয়ে ফেডারেল তহবিল আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। কুমো সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেছেন, জোহরান জিতলে ‘ট্রাম্প নিউইয়র্ক নগর দখল করে নেবেন’। জবাবে জোহরান বলেন, তিনি ট্রাম্পকে মোকাবিলা অব্যাহত রাখবেন।
এই তিন প্রার্থীর দ্বিতীয় টেলিভিশন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে ২২ অক্টোবর।