
ডাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল আজ বুধবার সকালে ঘোষণা করা হয়ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি, জিএস ও এজিএসসহ ১২টি সম্পাদক পদের মধ্যে ৯টিতে জয় পেয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের’ প্রার্থীরা। তবে, এই ফলাফল ঘোষণার পরপরই বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবদুল কাদের ভোট কারসাজির অভিযোগ তুলেছেন।
ডাকসু নির্বাচনের ফল: শিবিরের নিরঙ্কুশ জয়
ভিপি (সহসভাপতি) পদে শিবিরের নেতা মো. আবু সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৩ ভোট এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদের আবদুল কাদের পেয়েছেন ১ হাজার ১০৩ ভোট।
জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের শেখ তানভীর বারি হামিম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট।
এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে শিবিরের মুহা. মহিউদ্দীন খান ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ছাত্রদলের তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪ ভোট।
পরাজিত প্রার্থীর কারসাজির অভিযোগ
ভোট গণনা শেষে রাত ৯টার দিকে টিএসসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি প্রার্থী আবদুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, “এই নির্বাচন মূলত শিক্ষার্থীদের জন্য নয়; বরং জামায়াত-বিএনপি, ছাত্রদল-শিবিরের মধ্যে হিসাব-নিকাশ ও ক্ষমতার ভাগাভাগির নির্বাচন।” তিনি অভিযোগ করেন, সাদিক কায়েম ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ‘মেকানিজম’ করেছেন, আর ছাত্রদল বাইরে থেকে একই ধরনের কারসাজি করছে।
আবদুল কাদের নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ অথর্ব ও নতজানু আখ্যা দিয়ে বলেন, “কমিশনের একাংশ ছাত্রদলের এবং অন্য অংশ শিবিরের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছে।” তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রে আগেই ব্যালট পেপারে নাম পূরণ করা ছিল এবং শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে গিয়ে নানা অসংগতির শিকার হয়েছেন। (আমাদের পুরনো প্রতিবেদনটি দেখুন)
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আবু বাকের মজুমদারও এই অভিযোগকে সমর্থন করে বলেন, “নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ছিল নিয়ম অনুযায়ী পরিবেশ তৈরি করা, কিন্তু তারা তাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ফলে প্রতিটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন যে, বিএনপি এবং জামায়াত উভয়েই ক্ষমতার দ্বন্দ্বে তাদের ছাত্রসংগঠনগুলোকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।
এই নির্বাচনে অনিয়মের জন্য আবদুল কাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা দাবি করেন এবং বলেন যে, তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। (https://www.du.ac.bd/)