
চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দিতে পাশাপাশি হেঁটে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (বাঁয়ে), চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং (মাঝে) এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। তাঁদের পেছনে আরও কয়েকটি দেশের নেতাদের দেখা যাচ্ছে। ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানী বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারেছবি:
সিএনএন
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪: ০২
এক পাশে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, অন্য পাশে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনকে নিয়ে বেইজিংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজে উপস্থিত হয়েছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ঠিক তাঁদের পেছনেই ছিলেন ইরান, পাকিস্তান, বেলারুশ ও মিয়ানমারসহ প্রায় দু ডজন দেশের নেতারা। বিশ্বের জন্য এ দৃশ্যের থেকে স্পষ্ট বার্তা আর কী হতে পারে।
তিয়েনআনমেন স্কয়ারের বড় পর্দাগুলোতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এই দৃশ্য দেখেছেন। সামরিক কুচকাওয়াজের বিশাল আয়োজন দেখতে গত বুধবার তীব্র রোদ উপেক্ষা করে তাঁরা রাজধানীর তিয়েনআনমেন স্কয়ারে জড়ো হয়েছিলেন, তাঁদের অনেকের হাতে ছিল চীনের ছোট ছোট পতাকা।
চীনজুড়ে টেলিভিশনে সামরিক কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়েছে। চীনের বাইরের অনেক দেশ থেকেও টেলিভিশনে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ পশ্চিমা অনেক দেশ একে স্পষ্ট বার্তা হিসেবে দেখেছেন। তাদের মনে হয়েছে, চীন ইচ্ছাকৃতভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে প্ররোচিত করছে।
কুচকাওয়াজ চলার মধ্যেই সিকে উদ্দেশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, ‘আপনি যখন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, দয়া করে ভ্লাদিমির পুতিন ও কিম জং–উনকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে দেবেন।’
গত বুধবার তিয়েনআনমেন স্কয়ারে যাঁরা চীনের হাজার হাজার প্রশিক্ষিত সেনাদের চিৎকার শুনেছেন; কুচকাওয়াজে একে একে অতিকায় পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ও পানির নিচে চলা ড্রোনের প্রদর্শন দেখেছেন এবং বেইজিংয়ের ‘অ্যাভিনিউ অব ইটারনাল পিস’ ধরে যুদ্ধবিমানগুলোকে নিয়ন্ত্রিতভাবে উড়ে যেতে দেখেছেন, তাঁরা একটা বিষয় স্পষ্টভাবে বুঝেছেন। আর সেটা হলো, সি সামরিক শক্তি দেখাতেই এই আয়োজন করেছেন। সামরিক শক্তি ও ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবের ক্ষেত্রে বিকল্প শক্তি হিসেবে চীন যে আবির্ভূত হচ্ছে, এই প্রদর্শনী তা বুঝিয়ে দিয়েছে।
চীন দীর্ঘদিন ধরেই তাদের উত্থান শান্তিপূর্ণ বলে প্রচার করছে। যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধবাজ বলে সমালোচনা করেছে। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি উদ্যাপন করতে গিয়ে চীন তাদের যে শক্তি দেখিয়েছে, তাতে বোঝা যায় দেশটি দ্রুতগতিতে অন্যতম সামরিক শক্তিধর দেশ হতে চলেছে।