
মোহাম্মদ উল্যা,
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালীর গুরুত্বপূর্ণ বসুরহাট থেকে মাইজদী রুটে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। মাত্র ২৭ কিলোমিটার দূরত্বের এই পথে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ—১০০ টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, পার্শ্ববর্তী ২৯ কিলোমিটার দূরত্বে ফেনী থেকে বসুরহাট পর্যন্ত সিএনজি ভাড়া মাত্র ৫০ টাকা নেওয়া হলেও, এই রুটে নেয়া হচ্ছে ১০০ টাকা।
ভাড়া না কমার কারণ ও চালকদের যুক্তি
একসময় চালকরা সড়কের বেহাল দশার কারণে জ্বালানি খরচ ও সময় বেশি লাগত বলে অতিরিক্ত ভাড়া নিত। কিন্তু বর্তমানে এই সড়ক প্রশস্ত ও পাকা হওয়ায় যাতায়াত সহজ ও দ্রুত হয়েছে, অথচ ভাড়া কমেনি। যাত্রীদের অভিযোগ, নির্ধারিত ফেয়ার চার্ট থাকা সত্ত্বেও চালকরা তা মানছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী বলেন, “ফেনী থেকে বসুরহাটে ৫০ টাকা ভাড়া নেয়। অথচ বসুরহাট থেকে মাইজদী যেতে লাগে ১০০ টাকা! এই রুটে কোনো চালকই ফেয়ার চার্ট মানছেন না।”
অন্যদিকে, চালকরা অবশ্য এই অতিরিক্ত ভাড়ার পক্ষে যন্ত্রপাতির দাম বৃদ্ধি এবং অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ার পুরোনো যুক্তি ব্যবহার করছেন। তবে যাত্রীদের ধারণা, অতিরিক্ত চাঁদা বা একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার বিষয়টি এখানে প্রধান।

লোকাল বাস চালুর দাবি
স্থানীয়রা জানান, নোয়াখালী জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই রুটে দিনে-রাতে হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু পর্যাপ্ত গণপরিবহন না থাকায় যাত্রীরা বাধ্য হয়ে সিএনজি বা অটোরিকশায় এই অতিরিক্ত ভাড়া গুনছেন।
যাত্রীরা জোর দাবি জানিয়েছেন, বসুরহাট-সোনাপুর রুটে লোকাল বাস চালু হলে তাঁদের আর্থিক কষ্ট অনেকটা কমে যাবে এবং সিএনজি ও অটোরিকশার একচেটিয়া আধিপত্যও থাকবে না।
