
সেন্টমার্টিন।
বাসস।
কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনে যাবে পর্যটকবাহী জাহাজ। আইনগত বিধিনিষেধের কারণে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী বিচ থেকে পর্যটনবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিন যাওয়ার সুযোগ নেই।
সোমবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরকে নীতিগত সম্মতি দিয়ে পাঠানো চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনানী বিচ থেকে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন জানান, ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতকে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করা হয়েছে। ইসিএ এলাকার মধ্যে ইনানী মৌজা এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপও অন্তর্ভুক্ত। আইন অনুযায়ী, এই এলাকায় কোনো ক্ষতিকর ‘কর্ম বা প্রক্রিয়া’ চালু রাখা বা শুরু করা যাবে না। একারণেই আগের নিয়মেই নুনিয়াছড়া ঘাট থেকে জাহাজ চলাচল করবে।
সেন্টমার্টিন ভ্রমণের নতুন নির্দেশনা
সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় গত ২২ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, তাতে উল্লেখযোগ্য নির্দেশনাগুলো হলো:
- ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ: প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারবেন না।
- অনলাইন টিকিট: পর্যটকদের বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে কিউআর কোড সংযুক্ত অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে।
- ভ্রমণের সময়সূচি:
- নভেম্বর মাসে: পর্যটকেরা শুধু দিনের বেলায় ভ্রমণ করতে পারবেন, রাত্রিযাপন করা যাবে না।
- ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে: রাত্রিযাপনের অনুমতি থাকবে।
- ফেব্রুয়ারি মাসে: দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।
- নিষেধাজ্ঞা: দ্বীপে রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি ও বারবিকিউ পার্টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সামুদ্রিক কাছিম, প্রবাল, রাজ কাঁকড়াসহ অন্যান্য জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করা যাবে না। সৈকতে মোটরসাইকেল ও সি-বাইকসহ যেকোনো মোটরচালিত যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
- প্লাস্টিক বর্জন: পলিথিন বহন করা যাবে না এবং একবার ব্যবহার উপযোগী প্লাস্টিক (চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের চামচ, স্ট্র ইত্যাদি) বহনে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
