
পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় করনীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত।ছবি
স্টাফ রিপোর্টার
ময়মনসিংহ
পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় করণীয় শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর উদ্যোগে এবং গ্রামীণ মানবিক উন্নয়ন সংস্থা (গ্রামাউস) এর সহযোগিতায় আয়োজিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ।
ময়মনসিংহ গ্রামাউস-এর পরিচালক মোঃ ফজলুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন মসজিদের শতাধিক ইমাম, এনজিও প্রতিনিধি, শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির আহ্বান: “আগে ঘর, তবে তো পর”
প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ বলেন, মানুষ তার কর্মের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করতে পারে। তিনি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব বোঝান: ‘যদি আগামীকাল কিয়ামত হয়, তবুও আজ একটি চারা গাছ লাগাও।’
তিনি বলেন, “আগে ঘর, তবে তো পর। আমাদের বাড়ির চারপাশের আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে, বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে।” তিনি মানুষের অতি লোভ ও মাত্রাতিরিক্ত ভোগের কারণে সৃষ্ট দূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানান।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ ও সমাধান
- বাকৃবি অধ্যাপক ড. মো. বদিউজ্জামান খান বলেন, পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় ১৭ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হবে এবং ৩০ শতাংশ কৃষি জমি নষ্ট হবে। তিনি জলবায়ু সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন এবং পরিবেশ দূষণের সাথে খাপ খাইয়ে চলার ওপর জোর দেন।
- পিকেএসএফ এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমাদ তাঁর মূল প্রবন্ধে বলেন, দূষণের কারণে পরিবেশের ভারসাম্য যাতে নষ্ট না হয়, সে চেষ্টা করতে হবে এবং গ্রীনহাউজ গ্যাস কমাতে জীবাশয় ব্যবহার কমাতে ও বৃক্ষরোপণ বাড়াতে হবে।
- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. হাবেজ আহমেদ ইমাম, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রত্যেককে নিজ নিজ আওতাধীন মানুষকে পরিবেশ সংরক্ষণে সচেতন করতে হবে এবং অপচয় রোধ করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ বদিউজ্জামান খান, ময়মনসিংহের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক শেখ মোঃ নাজমুল হুদা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আসাদুজ্জামান।