ওয়াশিংটন (রয়টার্স)। প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:৩৭

হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ছবি: রয়টার্স
ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার এক নতুন শুল্ক ঘোষণা দিয়েছেন, যার ফলে দেশটিতে আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা প্রকাশ পেয়েছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের ওপর বড় আকারের শুল্ক বসানো হবে।
শর্ত: ব্র্যান্ডেড বা পেটেন্ট করা ওষুধের ওপর নতুন ১০০% শুল্ক প্রযোজ্য হবে, যদি না সেই কোম্পানি এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন কারখানা তৈরি শুরু করে থাকে।
শুল্ক আরোপের কারণ ও বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাব
ট্রাম্প এই শুল্ক আরোপকে ‘পাল্টা শুল্ক’ হিসেবে দেখছেন। তিনি তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন বলে জানা যায়।
ট্রাম্প তাঁর মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “অন্যান্য দেশ থেকে এসব পণ্যের বড় ঢল যুক্তরাষ্ট্রে নেমেছে।”
- ভারী ট্রাক: এই শুল্কের উদ্দেশ্য হলো মার্কিন উৎপাদকদের অন্য দেশের অন্যায় প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা করা।
- কেবিনেট ও আসবাব: এসব পণ্যের বড় পরিমাণে আমদানি স্থানীয় উৎপাদকদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এই ঘোষণার ফলে ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্তহীনতায় পড়েছেন এবং এর প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতির ওপরও পড়ছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
তীব্র বিরোধিতা: মিত্রদের ওপর আঘাতের আশঙ্কা
ট্রাম্পের এই শুল্ক পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছে সংশ্লিষ্ট শিল্প সংস্থা ও বাণিজ্য সংগঠনগুলো।
শর্ত: ব্র্যান্ডেড বা পেটেন্ট করা ওষুধের ওপর এই ১০০% শুল্ক প্রযোজ্য হবে, যদি না সেই কোম্পানি এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন কারখানা তৈরি শুরু করে থাকে।
শুল্ক আরোপের কারণ ও বিশ্বজুড়ে প্রভাব
ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপকে ‘পাল্টা শুল্ক’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের পিছনে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা এবং স্থানীয় উৎপাদকদের রক্ষা করার উদ্দেশ্য রয়েছে।
ভারী ট্রাকের ওপর নতুন শুল্ক বসানো হচ্ছে মার্কিন উৎপাদকদের অন্য দেশের অন্যায় প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা করার জন্য। অন্যদিকে, রান্নাঘর, বাথরুমের কেবিনেট এবং কিছু আসবাবের ওপর শুল্ক আরোপের কারণ হলো, এসব পণ্যের বড় আকারের আমদানি স্থানীয় উৎপাদকদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, “অন্যান্য দেশ থেকে এসব পণ্যের বড় ঢল যুক্তরাষ্ট্রে নেমেছে।” এই ঘোষণার ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে এবং ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্তহীনতায় পড়েছেন।
শুল্কের বিরুদ্ধে মিত্র ও শিল্প সংস্থাগুলোর বিরোধিতা
ট্রাম্পের এই শুল্ক পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছে সংশ্লিষ্ট শিল্প সংস্থা ও বাণিজ্য সংগঠনগুলো।
- ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অব আমেরিকা নতুন ওষুধ শুল্কের বিরোধিতা করেছে। তারা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত ওষুধের উপাদান প্রধানত ইউরোপ ও অন্যান্য মার্কিন মিত্রদেশ থেকে আসে, তাই এই শুল্কের ফলে মিত্র দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার অব কমার্স নতুন ট্রাক শুল্ক আরোপ না করার পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলেছে, ভারী ট্রাক আমদানির প্রধান উৎস দেশগুলো (মেক্সিকো, কানাডা, জাপান, জার্মানি ও ফিনল্যান্ড) সবাই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ অংশীদার এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কোনো হুমকি নয়।
একটি গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যম ও ভারী ট্রাকের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক এবং ২০১৯ সাল থেকে মেক্সিকো থেকে এসব বড় গাড়ির আমদানি তিন গুণ বেড়েছে।