
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) যৌথভাবে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও নির্বাচনী ঐক্য: ক্ষমতা না জনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর পল্টনেছবি:
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা।
আগামী নির্বাচন কেবল ক্ষমতা বদলের জন্য নয়, এটি জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য হতে হবে। তবে বর্তমানে নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো জোট ও আসন ভাগাভাগিতে ব্যস্ত, যেখানে তাদের ভাবনায় জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা স্থান পায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর পল্টনে ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)’ ও ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)’ আয়োজিত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও নির্বাচনী ঐক্য: ক্ষমতা না জনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আলোচকেরা এসব কথা বলেন।
আলোচকদের বক্তব্য
- হাসনাত কাইয়ুম (রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি): তিনি বলেন, দেশে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেটি ব্যতিক্রমী নির্বাচন। এটি কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার নির্বাচন নয়, বরং সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা অর্জনের নির্বাচন। অভ্যুত্থান শেষ হয়ে যায়নি, কারণ মানুষ যে জন্য জীবন দিয়েছে, সেই অধিকার আদায় না করে লড়াই শেষ হবে না।
- মাহমুদুর রহমান (আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক): তিনি বলেন, শুধু ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য শহীদ আনাস জীবন দেননি, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আদর্শ রাষ্ট্র গঠন ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, দলগুলো যেকোনো মূল্যে ভোটে জিততে চায় এবং ডিসি, এসপি, কমিশনার কে থাকবে—এটাই তাদের আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু। এমন চর্চা থেকে বের হতে হলে জুলাই বিপ্লবকে অব্যাহত রাখতে হবে।
- মুজিবুর রহমান মঞ্জু (এবি পার্টির চেয়ারম্যান): তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে বিজয়ী হলেও এর আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে বিভেদ শুরু করেছে এবং ছাত্রদের অবজ্ঞা করে কথা বলেছে। এর ফলে গণ-অভ্যুত্থানের নায়কদের গ্রহণযোগ্যতা কমতে শুরু করেছে।