
পঞ্চগড়ে কুলি শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শনিবার সন্ধ্যার আগে পঞ্চগড় শেরেবাংলা পার্ক-সংলগ্ন এলাকায়ছবি:
প্রতিনিধি
পঞ্চগড়
আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২: ০৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমরা শুনলাম আওয়ামী লীগের নাকি যারা ভালো নেতা ছিল, তাদের নাকি জাতীয় পার্টি এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন দেবে। আসলে সবচেয়ে বড় কথা হলো, চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের যে গল্প এই আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান (মোস্তাফিজার রহমান) দিতেছে, এই রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের আইডিয়া হইতেছে ভারতের দেওয়া। এই আইডিয়া অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে বাস্তবায়ন হবে না।’
আজ শনিবার সন্ধ্যার আগে পঞ্চগড় শেরেবাংলা পার্ক-সংলগ্ন জেলা কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে কুলিশ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কথা বলি, এই বাংলাদেশে যারা ২০০৯-এ বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, শাপলায় আমাদের আলেম ভাইদের ওপরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এই চব্বিশের অভ্যুত্থানে হাজারের বেশি ছাত্র-জনতাকে খুন করেছে, সেই খুনিরা এই বাংলাদেশে কখনো রাজনীতি করতে পারে না।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘যেভাবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বা দলীয় সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় দোসর, আওয়ামী লীগের অবৈধ নির্বাচনের বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা জাতীয় পার্টির কার্যক্রম একইভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। আইনগত প্রক্রিয়ায় স্থায়ীভাবে আওয়ামী লীগ ও তার বি টিম জাতীয় পার্টিকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে রাজনীতির জায়গা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।’
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘তাদের (জাতীয় পার্টির) সাহস কীভাবে হয় গণ অধিকার পরিষদের মতো একটা দল নিষিদ্ধ নিয়ে কথা বলার। গণ অধিকার পরিষদের আমাদের নুর ভাই ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সহযোদ্ধা। তাঁর অনেক কাজের আমরা সমালোচনা করতে পারি, আমাদের দ্বিমত থাকতে পারে, এটা আলাদা হিসাব। কিন্তু শেখ হাসিনার সময়ে তার ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ-যুবলীগের গুন্ডাদের মাইর খেয়ে রক্তাক্ত হয়ে রাস্তাঘাটে তাঁকে পড়ে থাকতে হয়েছে। তারা রাজপথ থেকে গণমানুষের সমন্বয়ে সংগঠিত হওয়া একটা দল।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে সারজিস বলেন, ‘আপনাদের এ ধরনের ফ্যাসিস্টদের দোসরদের প্রতি নমনীয় আচরণ আপনাদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের আস্থার সংকট তৈরি করছে। আপনারা শুধু একটা গতানুগতিক সরকারের দায়িত্ব পালন করার জন্য যাননি। আপনারা এতজন মানুষের জীবনের-রক্তের ওপর দিয়ে সংস্কার করতে গেছেন। কে কী অপরাধ করেছে, এটার ডকুমেন্টারি দেখানো আপনাদের কাজ না। এটার পেছনে কারা দায়ী, তাদের বিচার নিশ্চিত করা, যারা খুনি তাদের ফাঁসির মঞ্চে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়া আপনাদের কাজ।’