আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় সিমের সংখ্যা কমিয়ে আনছে বিটিআরসি; আজ অতিরিক্ত সিম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একজন নাগরিক তার জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ পাঁচটি সিম নিবন্ধন করতে পারবেন। দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যক্তিগত সিমের ব্যবহার কমানোর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে নতুন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
ধাপে ধাপে কমানো হচ্ছে সিমের সংখ্যা
এর আগে একজন নাগরিক এনআইডি’র বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহার করতে পারতেন। বিটিআরসি গত ৩০ জুলাই জানিয়েছিল, একজন ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি সিম থাকতে পারবে না এবং অতিরিক্ত সিমগুলো নভেম্বর থেকে বন্ধ করা শুরু হবে।
তবে সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি জানায়, আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন
বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় একজন নাগরিকের এনআইডি’র বিপরীতে ব্যক্তিগত সিম নিবন্ধনের সর্বোচ্চ সংখ্যা আরও কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
- নতুন সীমা: আগামী ১ জানুয়ারি থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের নতুন সিম রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫টিতে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
- অনুমোদন: সিদ্ধান্তটি অনুমোদনের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী জানান, ৩১ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে ১০টির বেশি সিম রাখা যাবে না। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে সিম সংখ্যা আরও কমিয়ে আনা হবে।
নিবন্ধিত সিম জানার প্রক্রিয়া
একটি এনআইডির বিপরীতে কতগুলো সিম নিবন্ধিত আছে, তা জানতে যেকোনো অপারেটর (গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক বা টেলিটক) থেকে *১৬০০১# লিখে ডায়াল করতে হবে। এরপর ফিরতি মেসেজে জাতীয় পরিচয়পত্রের শেষ চারটি সংখ্যা চাওয়া হলে সেই সংখ্যা পাঠিয়ে সিমের সংখ্যা ও অপারেটরের নাম জানা যাবে।

 
         
         
         
         
                      