টুপি পরা নিয়ে ঝগড়ার জেরে ৩০০ টাকায় কেনা ছুরি দিয়ে খুন; নিহত-আটক দুজনেই হিফজ বিভাগের ছাত্র

মোহাম্মদ উল্যা
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় একটি মাদ্রাসা থেকে নাজিম উদ্দিন (১৩) নামে এক শিক্ষার্থীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর এক সহপাঠীকে আটক করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
যেভাবে ঘটল হত্যাকাণ্ড
নিহত নাজিম উদ্দিন সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের মোহাম্মদ ওবায়েদ উল্লাহর ছেলে। সে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদ্রাসাতুল ইসলামিয়া মাখছুদুল উলুম মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।
পুলিশ ও মাদ্রাসা সূত্র জানায়, গতকাল রোববার রাতে নাজিম অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মাদ্রাসার একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল। দিবাগত রাত তিনটার দিকে কারও গোঙানোর শব্দ পেয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী জেগে ওঠে এবং কক্ষের বাতি জ্বালিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় নাজিমের গলাকাটা লাশ দেখতে পায়।
আটক ও হত্যার কারণ
খবর পেয়ে সকালে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, রক্তাক্ত লাশের পাশে হাতের একটি ছাপ দেখে সন্দেহ হয়। এ সময় কক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৬ বছর বয়সী একজনকে কাঁপতে দেখায় তাকে সন্দেহবশত আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদ আলম জানান, আটক কিশোর হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। টুপি পরা নিয়ে সপ্তাহ দুয়েক আগে নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছিল। মনে ক্ষোভ পুষে রেখে সে স্থানীয় বাজার থেকে ৩০০ টাকায় একটি ছুরি কিনে লুকিয়ে রাখে এবং পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রাতে নাজিমকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে হত্যা করে। তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সামাদ জানিয়েছেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং অভিযুক্ত মীর হোসেনসহ (অন্য সূত্র থেকে পাওয়া নাম) ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
