
কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়াদিয়ার সৈকতে ভেসে আসা কাঁটাযুক্ত পটকা মাছ। এই প্রজাতির পটকা মাছ দ্বীপের প্রবাল প্রাচীরের অগভীর জলে বসবাস করে। ১৭ অক্টোবর ছবিটি তুলেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান।
নিজস্ব প্রতিবেদক।
বঙ্গোপসাগরের প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের বিচ্ছিন্ন এলাকা ছেঁড়াদিয়ার পশ্চিম সৈকতে সম্প্রতি বিরল প্রজাতির কাঁটাযুক্ত পটকা মাছের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণত এই এলাকায় এই মাছ তেমন চোখে পড়ে না এবং এর উপস্থিতি দ্বীপের প্রাণবৈচিত্র্য ফিরে আসার বড় লক্ষণ।
উপস্থিতির তাৎপর্য
- পরিবেশের সুফল: পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) মো. কামরুল হাসান বলেন, কাঁটাযুক্ত পটকা মাছের উপস্থিতি প্রমাণ করে সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের সুফল ফলতে শুরু করেছে। এ কারণে দ্বীপে কাঁকড়া, কাছিমসহ নানা প্রজাতির প্রাণীর সংখ্যা বাড়ছে।
- সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য: গবেষকেরা বলছেন, এই প্রজাতির পটকা মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ডায়োডন হলোকানথাস (Diodon holocanthus), যা একমাত্র সেন্ট মার্টিনের প্রবালপ্রাচীর, পাথুরে রিফ এবং উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস করে। এর উপস্থিতি দ্বীপের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের প্রমাণ।
- প্রতিবেশের ভারসাম্য: এই মাছের উপস্থিতি দ্বীপের প্রবালসহ নানা সামুদ্রিক প্রাণীর নির্বিঘ্নে বেড়ে ওঠার লক্ষণ। গবেষকেরা মনে করছেন, দ্বীপের প্রতিবেশ ও পরিবেশের ক্ষত সেরে উঠছে।
সরকারের পদক্ষেপ
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের নেওয়া তিন বছরব্যাপী প্রকল্পের নাম ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজন প্রকল্প’। প্রকল্পের আওতায় দ্বীপের সৈকতে কেয়াবাগান সৃজন, পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণার কাজ চলছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে সেন্ট মার্টিনে প্রবাল, শৈবাল, কাছিম, সামুদ্রিক মাছ, কাঁকড়াসহ ১ হাজার ৭৬ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে।
