দলীয় দুঃসময়ের পরীক্ষিত সংগঠককে মনোনয়ন দেওয়ায় এলাকায় বইছে নির্বাচনের উৎসবের হাওয়া

মোহাম্মদ উল্যা, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬ ফেব্রুয়ারিতে সামনে রেখে বিএনপি সারাদেশে ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণার পর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ রাজনীতিতে সৃষ্টি হয়েছে এক আনন্দঘন আলোড়ন। কারণ, নোয়াখালী-৫ আসনে (কোম্পানীগঞ্জ–কবিরহাট) বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের পরিশ্রমী, জনপ্রিয় ও তরুণমনা ব্যবসায়ী–সংগঠক আলহাজ্ব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।
তিনি সুপরিচিত শিল্প উদ্যোক্তা, মেট্রোহোমসের মালিক এবং ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান। বহু বছর ধরে তিনি দলের দুঃসময়ে নীরবে-নিভৃতে নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন, অসহায়দের সহায়তা করেছেন এবং উন্নয়ন ও মানবতার কাজে দৃশ্যমান ভূমিকা রেখেছেন।
নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস
মনোনয়ন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে রাজনীতিতে যেন নির্বাচনের উৎসবের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শত শত নেতাকর্মী ও সমর্থক তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। বিভিন্ন পোস্টে তাঁরা লিখেছেন, “যোগ্য নেতৃত্বের জয় হোক” এবং “দল পেলো একজন সাহসী সৈনিক”।
আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম গত কয়েক মাসে নিজেকে একজন সক্রিয় ও জনগণের সঙ্গে মিশে থাকা প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি:
- আন্দোলন ও গণসংযোগ: নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং তরুণদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় সভা আয়োজন করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।
 - সামাজিক সম্পৃক্ততা: ইমাম, খতিব ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে সমাজের নৈতিক পুনর্জাগরণের বার্তা দিয়েছেন।
 - মানবসেবা: সম্প্রতি ৫০০ জনের বেশি অসহায় মানুষকে উপহার সামগ্রী প্রদান করেছেন এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মণ্ডপগুলো ঘুরে অনুদান দিয়ে সামাজিক সম্প্রীতির উজ্জ্বল নিদর্শন স্থাপন করেছেন।
 
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী, যিনি ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের কথায়, “উনি যোগ্য, পরিশ্রমী এবং দলের প্রতি নিবেদিত—উনি পারলে জনগণের আস্থা ফিরবে।”
জল্পনার অবসান, ঐক্যের আহ্বান
এই আসনে পূর্বে কেন্দ্রীয় নেতা বজলুল করিম চৌধুরীর আবেদ, প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহধর্মিণী হাসনা জসিম মওদুদ, জেদ্দা বিএনপি নেতা কিসমত উল্লাহ সিআইপি, আইনজীবী পারভীন কাউসার মুন্নীসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা আলোচনায় ছিলেন।
তবে শেষ পর্যন্ত দলের মনোনয়ন যখন ফখরুল ইসলামের হাতে এলো, তখন ভেদাভেদ ভুলে নেতাকর্মীরা এক কণ্ঠে বলেন, “দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে, আমরা তাঁর পাশে থেকে মিলেমিশে ‘ধানের শীষের’ বিজয় নিশ্চিত করব।”
