
মো. আবদুল আহাদছবি : পরিবারের সৌজন্যে
প্রতিনিধি, ফেনী।
২০১৯ সালের ৭ মে চট্টগ্রাম থেকে ‘অপহৃত’ হওয়া কাস্টমস কর্মকর্তা আবদুল আহাদ (৪৬)-এর মরদেহ ছয় বছর পর গতকাল বুধবার ফেনীতে উদ্ধার হয়েছে।
মরদেহ উদ্ধার ও পরিচয়
- উদ্ধার: গতকাল দুপুরে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে আহাদের মরদেহ উদ্ধার হয়।
- শনাক্ত: পুলিশের প্রাথমিক ধারণা ছিল আহাদ দিনমজুরের কাজ করেন। তবে তাঁর পকেটে থাকা একটি বেসরকারি ব্যাংকের হিসাব নম্বর থেকে তাঁর আসল পরিচয় পাওয়া যায়। নিহত আহাদ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার দাউদপুর গ্রামের মো. ইমানি মিয়ার ছেলে।
পরিবারের দাবি ও অভিযোগ
নিহত আহাদের পরিবার সূত্র জানায়, তিনি কর্মজীবনের শেষে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত ছিলেন এবং সেখান থেকেই নিখোঁজ হন।
- অপহরণ ও মুক্তিপণ: আহাদের ছোট বোন নাঈমা নাসরিন জানান, ২০১৯ সালের ৭ মে ভোরে তাঁর ভাবিকে মুঠোফোনে জানানো হয় ভাইকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে দুই লাখ টাকা নিলেও তাঁকে ফেরত দেয়নি।
- বিচার দাবি: নাঈমা নাসরিন এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। তাঁর ভাগনে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অপহরণের পর তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও মামার সন্ধান পাননি।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার জানান, পরিবার ছয় বছর আগে অপহরণের যে বিষয়টি জানাচ্ছে, পুলিশ সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে।
- মৃত্যুর কারণ: পুলিশ জানিয়েছে, আহাদের শরীরে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত কোনো কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁদের প্রাথমিক ধারণা।
- তদন্ত: ছাগলনাইয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ আলম জানান, ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে এবং প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে ধারণা করছে।
