
যশোরের দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দুদকের চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন। আজ রোববার বেলা একটার দিকে যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনেছবি: সংগৃহীত
যশোর অফিস।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে বেছে না নেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ রোববার যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দুর্নীতিবিষয়ক গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চেয়ারম্যানের মূল বক্তব্য
- নির্বাচনে সতর্কতা: দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “সামনে নির্বাচন। সুষ্ঠু ও আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন হবে। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে আপনারা বেছে নেবেন না।” তিনি মনে করেন, একটি সরকারের পতনের মূল কারণ ছিল দুর্নীতি, কাজেই সামনের নির্বাচনে সঠিক ও সৎ মানুষকে জয়ী করে আনতে হবে।
- দুর্নীতির নতুন ধরন: তিনি বলেন, “আমাদের যতই দিন যাচ্ছে, দুর্নীতির ধরন ক্রমাগতই পাল্টে যাচ্ছে। … আমি যশোরে এসে নতুন একটি দুর্নীতির খবর জানতে পারি। মানুষ পারাপার করেও টাকা আদায় করা যায়।” তিনি এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে, সেদিকে লক্ষ রাখার জন্য আহ্বান জানান।
গণশুনানি ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা
আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা এই গণশুনানিতে মঞ্চে অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের মুখোমুখি বসানো হয়।
- ঘুষের স্বীকারোক্তি: যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেন এক অভিযোগকারীর কাছ থেকে কাজ করে দেওয়ার জন্য পাকা কলা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করার কথা স্বীকার করেন। যদিও অভিযোগকারী ১০ হাজার টাকা ও অতিরিক্ত ছয় লাখ টাকা দাবির কথা বলেছিলেন।
- ব্যবস্থা গ্রহণ: এই ঘটনায় দুদকের কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী ওই কর্মচারীকে বদলি ও তদন্তের নির্দেশ দেন।
- অন্যান্য সিদ্ধান্ত: গণশুনানিতে মোট ৩৭টি দপ্তরের ৭৫টি অভিযোগের শুনানি হয়। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
