
মহড়ায় রাশিয়ার একটি ইয়ার্স আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার দৃশ্য। দেশটির আর্কাঞ্জেলস্ক অঞ্চলের প্লেসেটস্ক কসমোড্রোম থেকে এটি ছোড়া হয়, ২২ অক্টোবর ২০২৫ছবি: রয়টার্স
রয়টার্স, মস্কো/কিয়েভ।
ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে রাশিয়া গড়িমসি করছে, এমন অভিযোগ এনে আজ বুধবার রাশিয়ার দুটি প্রধান জ্বালানি তেল কোম্পানি রোসনেফট ও লুকয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন এমন একদিনে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করল, যার আগের দিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার বৈঠকের পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য ও প্রভাব
- উদ্দেশ্য: যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো মস্কোর যুদ্ধে অর্থায়নের ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত করা।
- নীতি পরিবর্তন: এই পদক্ষেপ হোয়াইট হাউসের নীতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, কারণ সম্প্রতি তারা শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমঝোতামূলক দৃষ্টিভঙ্গির নীতি গ্রহণ করেছিল।
- বাজারের প্রভাব: ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের মন্ত্রী স্কট বেসেন্টের মন্তব্যের পর জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলে প্রায় ২ ডলার বেড়েছে।
রাশিয়ার শক্তি প্রদর্শন
নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার দিনই রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে একটি বড় প্রশিক্ষণ মহড়া চালিয়েছে।
- ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ: রাশিয়া জানিয়েছে, তারা স্থল, ডুবোজাহাজ এবং বিমানের লঞ্চার থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এসবের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম এমন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল।
- বোমারু বিমান: রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের দূরপাল্লার ‘টু-২২এম৩’ কৌশলগত বোমারু বিমান বাল্টিক সাগরে চক্কর দিয়েছে।
এদিকে, বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোও রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সহ ১৯তম নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে।