
দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের আগে উড়োজাহাজ থেকে নামছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর ২০২৫, গিমহে বিমানঘাঁটিছবি: এএফপি
এনডিটিভি।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (স্বরাষ্ট্র দপ্তর) একটি নতুন নিয়ম ঘোষণা করেছে, যেখানে এখন থেকে অভিবাসী কর্মীদের কাজের অনুমতিপত্রের (EAD) মেয়াদ আর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন করা হবে না। এই সিদ্ধান্তের ফলে হাজার হাজার বিদেশি কর্মীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
নতুন নিয়ম ও এর প্রভাব
- কার্যকর: ২০২৫ সালের ৩০ অক্টোবর (আজ বৃহস্পতিবার) বা তার পর থেকে যেসব অভিবাসী কর্মী তাঁদের EAD নবায়নের জন্য আবেদন করবেন, তাঁরা আর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেয়াদ বাড়ার সুবিধা পাবেন না।
- পুরোনো নিয়ম বাতিল: ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ বাইডেন প্রশাসনের একটি পুরোনো নিয়মকে বাতিল করেছে। সেই নিয়মে নবায়নের আবেদন করলে অভিবাসীরা ৫৪০ দিন পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে পারতেন।
- উদ্দেশ্য: ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, নতুন নিয়মের উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আরও বেশি করে যাচাই-বাছাই করা।’
- ঝুঁকি: ইউএসসিআইএস পরামর্শ দিয়েছে, অভিবাসীরা তাঁদের EAD-এর মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন আগে নবায়নের আবেদন করুন। নবায়নের আবেদন জমা দিতে দেরি হলে, নথিপত্রের অভাবে সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।
ইউএসসিআইএস-এর পরিচালক জোসেফ এডলো এই সিদ্ধান্তকে ‘সাধারণ বুদ্ধি দিয়ে নেওয়া একটি পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করাটা অভিবাসী কর্মীদের ‘অধিকার নয়, বরং বিশেষ সুযোগ’।
EAD (ইএডি) কী?
EAD (ফর্ম আই-৭৬৬) হলো এমন একটি কাগজ, যা প্রমাণ করে যে একজন অভিবাসী একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার অনুমতি পেয়েছেন।
- কাদের লাগে না: যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দাদের (গ্রিন কার্ডধারী) এবং এইচ-১বি, এল-১বি-এর মতো বিশেষ ভিসাধারীদের সাধারণত এই কাগজ লাগে না।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন নতুন এইচ-১বি ভিসার বার্ষিক ফি বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করেছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল শুধু ‘খুবই দক্ষ’ কর্মীদেরই যুক্তরাষ্ট্রে আনা।
