রসিদ ছাড়া জরিমানা আদায় করে সরকারি রাজস্ব তছরূপের অভিযোগ; কঠোর শাস্তির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ:
ঢাকা থেকে তারাকান্দির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ট্রেন যমুনা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং-৭৪৫)-এ টিকিট পরিদর্শনের নামে সরকারি রাজস্ব তছরূপ করে ব্যক্তিগত পকেটে টাকা ভরার অভিযোগ উঠেছে ট্রেনের দুইজন ট্রাভেলিং টিকিট এগজ়ামিনারের (টিটিই) বিরুদ্ধে।
গত রবিবার (১৯ অক্টোবর) ট্রেনটি বিলম্বে ময়মনসিংহ জংশন স্টেশন থেকে ছাড়ার পর এই ‘চিরুনি’ অভিযান চলে।
রসিদ ছাড়া টাকা আদায়
যাত্রীদের অভিযোগ, এই দুই টিকিট পরিদর্শক টিকিটবিহীন যাত্রীদের জরিমানা করার ক্ষমতা ব্যবহার করে রসিদ ছাড়াই প্রাপ্য ভাড়া ও জরিমানার হাজার হাজার টাকা সরাসরি ব্যক্তিগত পকেটে ভরেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন যাত্রী জানান, “টিটিই স্যাররা আসল ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা চাইলেন। বললেন, রসিদ করলে জরিমানা বেশি পড়বে, ক্যাশে দিলে কম নিবেন। ভয়ে আমরা টাকা দিয়ে দিই। পরে দেখি তারা টাকাটা নিজেদের পকেটে রাখলেন।” সাধারণ যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, “এরা রক্ষকই হয়ে গেল ভক্ষক।”
রেলওয়ের বক্তব্য ও সমাধান
বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, টিকিট পরিদর্শকদের এমন আচরণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এ ধরনের অনিয়মের রিপোর্ট এলে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত শুরু করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাত্রীদের কাছে রসিদ না পেলে বা সন্দেহ হলে রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে অভিযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা এই দুর্নীতি রোধে টিটিইদের হাতে নগদ টাকা নেওয়া নিষিদ্ধ করে ডিজিটাল লেনদেন বাধ্যতামূলককরণ, অভিযোগ প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার ওপর জোর দিয়েছেন। এই ঘটনা রেলওয়ে বিভাগের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি ও তদারকির ঘাটতিকেই তুলে ধরেছে।