
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জন্মান্ধ রাজবাড়ীর আবদুল গফুর মল্লিকের বাড়িতে গিয়ে অর্থসহায়তা তুলে দেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভীছবি:
প্রতিনিধি, রাজবাড়ী
রাজবাড়ীর সদর উপজেলার খোলাবাড়িয়া গ্রামের জন্মান্ধ আবদুল গফুর মল্লিক দারিদ্র্য ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ভিক্ষা না করে দীর্ঘ ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে বাদাম ও নাড়ু বিক্রি করে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিএনপির সহায়তা
- নজরে আসা: জীবনসংগ্রামের যোদ্ধা আবদুল গফুরকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা একটি প্রতিবেদন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে আসে।
- অনুদান: তাঁর নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে রুহুল কবির রিজভী (বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব) আবদুল গফুর ও তাঁর স্ত্রী নূরজাহান বেগমের হাতে নগদ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা তুলে দেন।
- রিজভীর বক্তব্য: রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মানবিকতার প্রতিচ্ছবি হিসেবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের গফুরের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
গফুরের জীবনসংগ্রাম
- ভিক্ষায় অস্বীকৃতি: আবদুল গফুর মল্লিক জানান, কিশোর বয়সে বাবা ভিক্ষা করতে বললেও তিনি কারও কাছে হাত পাততে চাননি। তিনি মনে করতেন, ভিক্ষা করলে মানুষ ঘৃণা করত।
- জীবিকা: বয়সের ভারে কুঁজো হয়ে গেলেও তিনি টিনের ঝুড়িতে নাড়ু, বাদাম আর পাঁপড় নিয়ে গ্রামেগঞ্জে ঘুরে বিক্রি করেন। তাঁর স্ত্রী নূরজাহান বেগম তাঁকে নারকেলের নাড়ু বানিয়ে ও বাদাম ভেজে প্যাকেট করে কাজে সাহায্য করেন।
- কৃতজ্ঞতা: গফুর মল্লিক তারেক রহমানসহ বিএনপির পাশে দাঁড়ানো সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
