
ডিয়াগো ম্যারাডোনার মুর্যাল।
মেহেদী হাসান, ঢাকা।
আর্জেন্টাইনদের কাছে ডিয়েগো ঈশ্বর। তিনি সব সময় তাই থাকবেন—কথাটা বলেছিলেন কার্লোস তেভেজ। ফুটবল মাঠে তিনি সর্বকালের অন্যতম সেরাদের মধ্যে খুব সংক্ষিপ্ত তালিকার মানুষ। আর্জেন্টিনার ’৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের মহানায়ক এবং নাপোলির বিশ্বসেরা ক্লাবের কাতারে উঠে আসার চাবিকাঠি।
আজ ৩০ অক্টোবর, ২০২০ সালে অনন্তলোকে পাড়ি জমানো সেই কিংবদন্তি ডিয়েগো আর্মান্দো ম্যারাডোনার ৬৫তম জন্মদিন।
‘মারাদোনিয়ান ক্রিসমাস’ ও চার্চের উদ্ভব
ম্যারাডোনার প্রতি ভক্তদের অগাধ ভালোবাসার প্রকাশ ঘটে একটি নতুন ধর্মের উন্মোচনে।
- মারাদোনিয়ান ক্রিসমাস: ১৯৯৮ সালের ৩০ অক্টোবর রাতে রোজারিওতে এরনান আমেজ এবং হেক্টর ক্যাম্পোমার একে অপরকে ‘শুভ বড়দিন’ (মেরি ক্রিসমাস) বলে আলিঙ্গন করেন। এই দিনে তাঁরা প্রথম ‘মারাদোনিয়ান ক্রিসমাস’ উদ্যাপন করেন, যা ম্যারাডোনার জন্মদিনকে উৎসর্গ করে।
- মারাদোনিয়ান চার্চ: ২০০১ সালে এরনান ও আলেহান্দ্রো নামের দুই বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নেন, যেহেতু ডিয়েগো ‘ফুটবল-ঈশ্বর’, তাই তাঁর নামে একটি চার্চ থাকা উচিত—‘মারাদোনিয়ান চার্চ’ (Iglesia Maradoniana)। এই চার্চ তৈরির অর্থ আসলে নতুন এক ধর্মের উদ্ভব ঘটানো।
- অনুষ্ঠান: তাঁরা আশপাশের এলাকা থেকে ম্যারাডোনার ভক্তদের নিয়ে একটি ডিনার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এবং যাঁরা সেই নিমন্ত্রণে আসেন, তাঁদের ‘মারাদোনিয়ান’ নামে অভিহিত করা হয়।
