
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনছবি: বাসস।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য একটি বিশেষ আদেশের ভিত্তি কী হবে এবং সেই আদেশে কী থাকবে—তা নির্ধারণে কাজ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ বিষয়ে গত রোববার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, অধ্যাপক ও আইনজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন।
বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণ
জুলাই জাতীয় সনদে সই হলেও এর বাস্তবায়নের উপায় এখনো চূড়ান্ত হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলো গণভোটের বিষয়ে একমত হলেও, গণভোটের ভিত্তি, সময় ও প্রশ্ন কী হবে—এসব বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
- কমিশনের সুপারিশ: ঐকমত্য কমিশন একটি বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট এবং আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ করার পথে এগোচ্ছে।
- আদেশের ভিত্তি: বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার ক্ষমতায় আসায়, এই বিশেষ আদেশটি গণ-অভ্যুত্থান বা জনগণের অভিপ্রায়ের মূলে অন্তর্বর্তী সরকার জারি করতে পারে।
গণভোটের প্রশ্ন ও আইনি দিক
সনদ বাস্তবায়নের আদেশে গণভোটের প্রশ্ন থাকবে। এ নিয়ে কমিশনের দুটি চিন্তা রয়েছে:
- পূর্ণ সনদ: পুরো জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চান কি না, এই প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দেওয়া।
- ভিন্নমতের প্রস্তাব: যেসব প্রস্তাবে ভিন্নমত আছে, শুধু সেগুলোর বাস্তবায়ন চান কি না, এই প্রশ্নে গণভোট দেওয়া। কারণ, যেসব প্রস্তাবে মতভিন্নতা নেই, সেগুলো বাস্তবায়নে সমস্যা হবে না।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, কমিশন একটি পূর্ণাঙ্গ ও সুনির্দিষ্ট সুপারিশ সরকারকে দিতে চায়।
সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে এই মাসের মধ্যেই সরকারকে সুপারিশ দেবে ঐকমত্য কমিশন। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং বামধারার চারটি দল এখনো সনদে সই করেনি।