
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুফাইল ছবি: রয়টার্স।
এএফপি জেরুজালেম।
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির কারণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্যাপক চাপে রয়েছেন। সরকারে নিজ জোটের অনেক মিত্রই এখন তাঁর বিরোধিতা করছেন এবং তিনি ক্ষমতা হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, পিঠ বাঁচাতে নেতানিয়াহু আগাম নির্বাচনের দিকে নজর দিচ্ছেন।
নেতানিয়াহুর বর্তমান পরিস্থিতি
- সংখ্যাগরিষ্ঠতা সংকট: বর্তমানে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে নেতানিয়াহুর কট্টরপন্থী জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। ১২০ আসনের মধ্যে তাদের ঠিক অর্ধেক ৬০টি আসন রয়েছে।
- জোটের বিরোধিতা: ১০ অক্টোবর মার্কিন চাপে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পর সরকারি জোটের অনেক দলই এর বিরোধিতা করে গাজায় হামলা চালিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছে।
- জোট ভাঙার হুমকি: জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামান বেন-গভির জোট থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়েছেন। কট্টরপন্থী দল সেফারডিক শাস পার্টির ১১ আইনপ্রণেতা এবং ইউনাইটেড তোরাহ জুদাইসম সরকার থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে।
আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা
স্বাধীন বিশ্লেষক মাইকেল হরোউইৎজ এএফপিকে বলেন, “নেতানিয়াহুর জন্য বিষয়টি আর চলতি মেয়াদের শেষ পর্যন্ত সরকারি জোট টিকিয়ে রাখা নয়। তিনি বরং আগামী নির্বাচনে জয়লাভের জন্য একটি অবস্থান তৈরির দিকে নজর দিচ্ছেন, তা আগাম নির্বাচনের আয়োজন করে হলেও।”
নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ সাংবাদিকেরা মনে করছেন, তিনি ২০২৬ সালের জুন মাসে আগাম নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেন।
- নেতানিয়াহুর প্রস্তুতি: ১৮ অক্টোবর এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, তিনি আগামী নির্বাচনেও লড়বেন এবং জয়ের আশা করছেন।
তবে দুর্নীতির মামলা থাকা সত্ত্বেও লিকুদ পার্টিতে নেতানিয়াহুর বিকল্প না থাকায় এবং জরিপে দলটির জনপ্রিয়তা অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকায়, আগাম নির্বাচন তাঁর জন্য ক্ষমতা ধরে রাখার একটি কৌশল হতে পারে।
