
মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছানো ব্যক্তিদের ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়ে থাকেশাটারস্টক।
জাহিদ হোসাইন খান।
মৃত্যু মানুষের জীবনের এক চিরন্তন সত্য। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি ৪৮ জন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছানোর অভিজ্ঞতা বা নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স (NDE) কেমন হয়, তা নিয়ে গবেষণা করেছেন।
NDE হলো জীবন-পরিবর্তনকারী এমন অভিজ্ঞতা, যখন হৃৎপিণ্ড বা শ্বাসযন্ত্রের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জীবন হুমকির মুখে পড়ে।
NDE-এর অভিজ্ঞতা
- টানেল দৃষ্টি: গবেষণায় দেখা গেছে, মৃত্যুর আগমুহূর্তে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে পেরিফেরাল দৃষ্টি নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে টানেল দৃষ্টি তৈরি হয়।
- জ্যামিতিক অভিজ্ঞতা: চীনের বেইজিং ইনস্টিটিউট অব ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশনের বিজ্ঞানী লার্নার জানান, NDE-এর অভিজ্ঞতাকে চারটি স্বতন্ত্র জ্যামিতিক ভাগে ভাগ করা যায়।
- অংশগ্রহণকারীরা প্রথমে এ-আকৃতির (টানেল দৃষ্টির মতো) অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যান।
- এরপর অনেকেই বি-আকৃতি ও সি-আকৃতির অভিজ্ঞতা পান, যা দৃশ্যমান ক্ষেত্রের অর্ধেক সাময়িকভাবে হারিয়ে যাওয়ার কারণে হতে পারে।
- প্রক্রিয়ার শেষ দিকে মানুষ সি৫-আকৃতির কাঠামো বা সম্পূর্ণ ৩৬০-ডিগ্রি উপবৃত্তাকার কাঠামো দেখেন।
সাংস্কৃতিক প্রভাব
- হ্যালুসিনেশন: বিজ্ঞানী লার্নার আরও জানান, যখন মস্তিষ্কের কাজ বন্ধ হতে শুরু করে, তখন এসব দৃশ্য সামনে আসে। সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের কারণে অনেকেই সেই সময় হ্যালুসিনেশনের মধ্যে থাকেন। তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা হ্যালুসিনেশনের ভিত্তি তৈরি করে।
