
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে আজ বুধবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়ছবি: সাজিদ হোসেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে সেনাবাহিনীর পূর্ণ সহযোগিতা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন এই আদালতের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
আজ বুধবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ কথা জানান। বিচারপ্রক্রিয়াকে ‘সুচারুভাবে’ পরিচালনার বিষয়ে যাঁরা সহায়তা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।
সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্য
- সহযোগিতা: চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষক হিসেবে যাদের মনে করা হয়, সেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই আদালতের প্রক্রিয়াকে সাহায্য করেছে… এই আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার ব্যাপারে তারা (সেনাবাহিনী) সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছে।”
- আগের ঘোষণা: গত ১১ অক্টোবর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কর্মরত ১৪ জন এবং অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে থাকা ১ জন কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। সেদিন সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেছিলেন, সেনাবাহিনী সংবিধানস্বীকৃত বাংলাদেশের সব আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
- প্রশংসা: তাজুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনী যেমন জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর হত্যাযজ্ঞের সময় রুখে দাঁড়িয়েছিল, একইভাবে গুমের বিচারপ্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও তারা সহযোগিতা করছে এবং আইনের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা দেখিয়েছে।
- আহ্বান: তিনি বিচারপ্রক্রিয়া সুষ্ঠু রাখতে সেনাবাহিনীকে নিয়ে অপপ্রচার না করার আহ্বান জানান।
মামলার পটভূমি
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের গুম-নির্যাতনের দুটি এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের একটি মামলায় মোট ২৫ জন সাবেক-বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। আজ বুধবার ওই ১৫ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তাঁদের ঢাকার সেনানিবাসের সাবজেলে নেওয়া হয়েছে।