
এল–ফাশের শহর থেকে তাবিলায় পালিয়ে একটি শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে পরিবারটিছবি: রয়টার্স
আল- জাজিরা
সুদানের এল–ফাশেরে আধা সামরিক বাহিনী ‘র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ)’ হাতে সংঘটিত ‘ভয়াবহ’ গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। তাঁরা নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেছেন, শহরটি ‘আরও গভীর অন্ধকার নরকে ডুবেছে’।
এল-ফাশেরে গণহত্যা ও পরিস্থিতি
- শহরের পতন: গত রোববার সুদানের সেনাবাহিনীকে পশ্চিম দারফুরে তাদের শেষ ঘাঁটি থেকে পিছু হটতে বাধ্য করার পর আরএসএফ উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী এল–ফাশেরের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
- ভয়াবহতা: জাতিসংঘের আফ্রিকাবিষয়ক সহকারী মহাসচিব মার্থা আমা আকিয়া পোবি নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে বলেন, “পরিস্থিতি এক কথায় ভয়াবহ।” তিনি জানান, এল–ফাশের শহরে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও বাড়ি বাড়ি তল্লাশির বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে।
- নিরাপত্তাহীনতা: মার্থা আমা বলেন, “বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও বাস্তবতা হলো এল–ফাশেরে কেউ নিরাপদ নন। তাঁদের শহর ছাড়ার জন্য কোনো নিরাপদ পথও নেই।”
- সংঘাতের তীব্রতা: নিরাপত্তা পরিষদে টম ফ্লেচার বলেন, “এল–ফাশের আগে থেকেই মানবিক বিপর্যয়ের শিকার ছিল। এখন এটি আরও গভীর অন্ধকার নরকে নেমে গেছে।” আরএসএফ শহরে প্রবেশের পর নারী ও কন্যাশিশুরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, মানুষদের অঙ্গহানি করা হচ্ছে এবং নির্বিচার হত্যা করা হচ্ছে।
প্রেক্ষাপট
সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধ শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে, যখন সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে উত্তেজনা পূর্ণাঙ্গ সংঘাতে রূপ নেয়। এই সংঘাতে এ পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং ১ কোটি ২০ লাখের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। দক্ষিণ সুদান আলাদা হওয়ার এক দশকের বেশি সময় পর এল-ফাশেরের এই পতন সুদানের নতুন বিভক্তির ইঙ্গিত দিতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

 
         
         
         
         
                       
        