“অতীতের কর্মকাণ্ড মনে রাখতে” আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে শফিকুল আলমের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোকে তাঁর “অতীতের কর্মকাণ্ড মনে রাখতে” বললেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সাক্ষাৎকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ
১৫ বছরের বেশি সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকার পর অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ভারত পালিয়ে যান। তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
ভারত থেকে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো রয়টার্স, এএফপি, ইনডিপেনডেন্টসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন, যা বুধবার একযোগে প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন:
“একবিংশ শতাব্দীতে শেখ হাসিনার চেয়ে বড় খুনি বা হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন কেউ করেনি।”
তিনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “যারা তাঁর ইন্টারভিউ করছেন, তারা যেন তাঁর অতীতের কর্মকাণ্ড ভুলে না যান। শেখ হাসিনার মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি জাতিসংঘের রিপোর্টে স্পষ্ট। এ ছাড়া বিবিসি, আল জাজিরাসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসেছে, তিনি খুন করার নির্দেশ দিচ্ছেন।”
নির্বাচন ও দেশীয় মিডিয়ার ভূমিকা
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে সুযোগ না দিলে ভোট বর্জনের কথা বলেছেন—এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, “আমি তা মনে করছি না।”
তিনি আওয়ামী লীগের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেন: “আমরা এটা দেখি নাই। বাট আওয়ামী লীগ তো নাই। আমরা তো কোথাও আওয়ামী লীগকে দেখি নাই। দু-একটা ঝটিকা মিছিল…সে অনুযায়ী কেউ কেউ হয়ত-বা দুয়েকটা ডলার পান, এই তো।”
প্রেস সচিব দেশীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ধরন নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন: “একটি লোকাল নিউজ মিডিয়াতেও দেখা গেছে যে আইসিসিতে তাঁর পার্টি একটি ক্লেইম করছে। তিনি যে ভয়ানক রকমের হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন করেছেন, সেখানে তার কোনো ধরনের মেনশন (উল্লেখ) নেই। দেশের টাকা চুরি করে নিয়ে ইউকের (যুক্তরাজ্যের) সবচেয়ে দামি ল ফার্মকে হায়ার করে এ ধরনের কাজ তারা করছে। এটাকে আবার দেশের কেউ কেউ প্রমোট করছে।”
