
আগারগাঁও মেট্রোস্টেশন ডিজিবক্সের ডিজিটাল লকার।
রিসাদ মাহমুদ খান, ঢাকা।
অনলাইনে পণ্য অর্ডারের ক্ষেত্রে ডেলিভারি সংক্রান্ত ঝামেলা কমাতে স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ‘ডিজিবক্স’ দেশে এনেছে ডিজিটাল লকার প্রযুক্তি সেবা। এই সেবার মাধ্যমে প্রচলিত মাশুলের অর্ধেকেরও কম খরচে পণ্য ডেলিভারি করা সম্ভব হচ্ছে। গ্রাহক এই লকারে পণ্য সংগ্রহের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় পান এবং নিরাপত্তা দেওয়া হয় টু–ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোডের মাধ্যমে।
সেবার বিস্তার
- মোট স্থান: বর্তমানে দেশের ৫৫টি স্থানে এই ডিজিটাল লকার সেবা রয়েছে, যেখানে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বক্স আছে।
- লোকেশন: এর মধ্যে ঢাকার ৩৬টি স্থানে এবং রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, সিলেট ও চট্টগ্রাম জেলায় বাকি লকারগুলো রয়েছে।
- মেট্রোস্টেশন: রাজধানীর সব কটি মেট্রোস্টেশনে এই সুবিধা রয়েছে।
- গ্রাহক: প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত প্রায় সাত লাখের বেশি গ্রাহককে সেবা দিয়েছে।
যেভাবে সেবা কাজ করে
অর্ডার করার সময় গ্রাহক ডিজিবক্স অপশন নির্বাচন করলে ডেলিভারিম্যান পণ্য গ্রাহকের নিকটস্থ ডিজিবক্সে রেখে যান। গ্রাহক তখন একটি এসএমএস পান।
- সংগ্রহ: গ্রাহক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে লকার থেকে পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
- নিরাপত্তা: লকারের স্ক্রিনে ‘কাস্টমার’ অপশন ব্যবহার করে ই–মেইল বা মুঠোফোন নম্বর দিলে একটি ওটিপি কোড আসে। সেই কোড দিলে গ্রাহকের রাখা পণ্যের বক্সটি খুলে যায়।
- প্রযুক্তি: এই লকার সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এবং এর পুরোটাই দেশে তৈরি।
ডেলিভারি খরচ ও অংশীদার
- খরচ: প্রচলিত ডেলিভারি মাধ্যমে ৭০ থেকে ১১০ টাকা বা তার বেশি চার্জ দিতে হলেও ডিজিবক্সের মাধ্যমে ডেলিভারি নিলে গ্রাহককে ২২ থেকে ৪৫ টাকা দিতে হয়।
- অংশীদার: বর্তমানে ডিজিবক্সের ৬০ শতাংশ সেবা দিচ্ছে দারাজ বাংলাদেশ। এ ছাড়া ১০০০ ফিক্স সার্ভিস (ইলেকট্রনিকস ডিভাইস সার্ভিসিং প্রতিষ্ঠান) তাদের সেবা নিতে ডিজিবক্স ব্যবহার করছে।
ডিজিবক্সের চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম জানান, আগামী দুই বছরে তাঁরা বক্সের সংখ্যা ২৫ হাজার করতে চান। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হক জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরে বক্স টু বক্স (যে কেউ পণ্য পাঠাতে পারবে) সেবা চালু করা হবে।