স্টাফ রিপোর্টার
ময়মনসিংহ

‘ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় সদর দপ্তর স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন’ শীর্ষক প্রকল্পের ১০ম স্টিয়ারিং কমিটির সভার কার্যবিবরণী অনুসারে, প্রকল্পের মূল অংশে প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের পূর্বে বিভাগীয় সকল দপ্তর প্রধান এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধির সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ।
প্রকল্পের পরিকল্পনা ও অগ্রগতি
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) এবং প্রকল্প পরিচালক তাহমিনা আক্তার পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ডিপিপি-এর সর্বশেষ অগ্রগতি তুলে ধরেন। এতে জানানো হয়:
- জমির পরিমাণ: ব্রহ্মপুত্র নদের ওপারে মোট ৯৪৫ একর জায়গা জুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ের দপ্তর স্থাপন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
- সুবিধা: এখানে আধুনিক সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকবে। মোট ৩৪টি দপ্তর তাদের অনুমোদিত জনবলের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী স্পেস বরাদ্দ চেয়েছে।
- ভূমি ব্যবহার: ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক এলাকা নির্মাণ, বনায়ন, খাল, বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, হোটেল জোন, আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার, খেলাধুলার মাঠ, মিউজিয়াম, নভোথিয়েটার সহ বিভিন্ন স্থাপনা।
পুনর্বাসন ও নির্দেশনা
ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য ২৫ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখানে গড়ে ২.৫ শতক জায়গা নিয়ে মোট ৩৪২টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে, যার কাজের অগ্রগতি ৫০ শতাংশ।
সভায় স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ভূমি উন্নয়নের কাজ দ্রুত অনুমোদন করিয়ে দৃশ্যমান কাজের অংশ শুরু করার তাগিদ দেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ বলেন, “আপনারা আপনার দপ্তরের অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী যেভাবে স্পেস বরাদ্দ চেয়েছেন, সেভাবে পাবেন।” এছাড়াও তিনি পাবলিক পরীক্ষাসমূহ আয়োজনের জন্য একটি কেন্দ্রীয় পরীক্ষা সেন্টার তৈরির প্রস্তাবটি গ্রহণ করার বিষয়ে অভিমত ব্যক্ত করেন।
