
আসন্ন শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হবে।
ঢাকা
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১: ৫৬
একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে দুই ধরনের ‘শিক্ষা কোটা’ নিয়ে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কোটার অপব্যবহারের কারণে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের কাঙ্ক্ষিত কলেজে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। এই অনিয়ম ধরা পড়েছে তিন দফায় ভর্তি বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরও।
কোটা পদ্ধতির অনিয়ম ও গুরুতর অভিযোগ
ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ (শিক্ষা কোটা-১) এবং অন্যান্য অধীনস্থ দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য আরও ১ শতাংশ (শিক্ষা কোটা-২) কোটা রাখা হয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে, শিক্ষা কোটা-১–এর বিপরীতে ২ হাজার ৭৭ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছে, যা স্পষ্টই একটি বড় অনিয়ম। কারণ, সূত্রগুলো জানিয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে মাত্র কয়েকজনের সন্তান এবার এসএসসি পাস করেছে। এই ব্যাপক অনিয়মের কারণে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের পছন্দের কলেজে সুযোগ পাচ্ছে না।
অভিভাবকেরা বলছেন, মেধা ও প্রতিযোগিতার জায়গায় কোটা থাকায় এমনিতেই অনেক যোগ্য শিক্ষার্থী বঞ্চিত হয়। এর মধ্যে কোটা বাছাইয়ে এমন অনিয়ম এই সমস্যাকে আরও প্রকট করেছে।
নীতিমালা কী বলছে?
নীতিমালা অনুযায়ী, ৯৩ শতাংশ আসন মেধার ভিত্তিতে পূরণ হয়। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য এবং ২ শতাংশ শিক্ষা কোটা। শিক্ষা কোটার মধ্যে ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান এবং আরেক শতাংশ মাউশির অধীন সরকারি স্কুল-কলেজ ও অফিসগুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য। এই আসনগুলো মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত থাকে।

শিক্ষার্থীদের কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে আবেদন করতে হয়েছে অনলাইনে। তিন দফায় আবেদনের সুযোগ পেয়েছে শিক্ষার্থী
প্রথম দফায় ফলাফল প্রকাশের পর অনিয়মটি নজরে আসে। তখন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয় যে, ভর্তির সময় সঠিক প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে, অন্যথায় ভর্তি বাতিল হবে। তবে তিন দফা বাছাই শেষেও এই সমস্যা থেকেই গ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের লিঙ্ক হলো: