
ব্যাংকে লেনদেন। প্রতীকী ছবি।
বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা।
ব্যাংক হিসাবে বেশি টাকা থাকলে গ্রাহকের কাছ থেকে আবগারি শুল্ক কেটে রাখা হয়। চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময় এতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এত দিন ব্যাংক হিসাবে এক লাখ টাকার বেশি থাকলে আবগারি শুল্ক কেটে রাখা হতো। এখন থেকে তিন লাখ টাকার বেশি থাকলে আবগারি শুল্ক কেটে রাখা হবে।
আবগারি শুল্ক কী?
আবগারি শুল্ক হলো একধরনের পরোক্ষ কর, যা সরকার নির্দিষ্ট কিছু পণ্য, সেবা বা আর্থিক কার্যক্রমের ওপর ধার্য করে। এটি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আয় ও মুনাফার ওপর বসে না, বরং ব্যাংকে টাকা রাখা বা লেনদেনের মতো সুবিধা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বসে।
কোনো গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে বছরে একবার হলেও তিন লাখ টাকা থাকলে তাকে আবগারি শুল্ক দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই শুল্ক বসে হিসাবের স্থিতির ওপর।
কত টাকা থাকলে কত শুল্ক কাটবে
হিসাবের স্থিতির সীমা (বছরের যেকোনো সময়) | আবগারি শুল্কের হার |
---|---|
৩ লাখ টাকা পর্যন্ত | ০ টাকা (কোনো শুল্ক কাটা হবে না) |
৩ লাখ ১ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত | ১৫০ টাকা |
৫ লাখ ১ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত | ৫০০ টাকা |
১০ লাখ ১ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত | ৩,০০০ টাকা |
৫০ লাখ ১ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত | ৫,০০০ টাকা |
১ কোটি ১ টাকা থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত | ১০,০০০ টাকা |
২ কোটি ১ টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত | ২০,০০০ টাকা |
৫ কোটি টাকার বেশি | ৫০,০০০ টাকা |
আবগারি শুল্ক কাটার প্রক্রিয়া
- সময়: প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কোনো ব্যাংক হিসাবে আমানত বা স্থিতির পরিমাণ যদি অন্তত একবার তিন লাখ টাকা বা তার ওপরের সীমা স্পর্শ করে, তাহলে নির্দিষ্ট হারে শুল্ক দিতে হয়।
- কাটার সময়: সাধারণত ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এই অর্থ কাটা হয়।
- একাধিক হিসাব: একজন গ্রাহকের একাধিক ব্যাংক হিসাবে আবগারি শুল্ক আরোপ হয় এমন স্থিতি থাকলেও প্রতিটি হিসাব থেকে আবগারি শুল্ক কাটা হবে।
- যেসব হিসাব থেকে কাটা হয়: সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, এফডিআর, ডিপিএস, বেতনভিত্তিক হিসাবসহ মোটাদাগে সব ধরনের হিসাব থেকেই আবগারি শুল্ক কাটা হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই আবগারি শুল্ক আদায় করে এবং এনবিআরের পক্ষে ব্যাংকগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে হিসাব থেকে কেটে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়।