
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেশব্যাপী সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কার্যক্রম সচল করার পরই সিলেট, ফরিদপুর ও কুড়িগ্রামে সংগঠনটির ৩ জন নেতা পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী নেতারা হলেন— শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখার সদস্যসচিব হাফিজুল ইসলাম, ফরিদপুর জেলার মুখপাত্র কাজী জেবা তাহসিন ও কুড়িগ্রাম জেলার মুখ্য সংগঠক সাদিকুর রহমান। গতকাল রোববার রাতে তাঁরা পৃথকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতা ও চাঁদাবাজদের পক্ষপাতের অভিযোগ
পদত্যাগকারী নেতারা সংগঠনটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও উদ্দেশ্য নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন:
- শাবিপ্রবি: সদস্যসচিব হাফিজুল ইসলাম তাঁর পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, “সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে মনে হয়েছে, তাঁদের আগের লক্ষ্য ধরে রাখার পাশাপাশি আগামী দিনের লক্ষ্য কী হবে—তা বোধগম্য নয়। আমি মনে করছি, যে লক্ষ্য নিয়ে কমিটিগুলো গঠিত হয়েছিল, সেসব লক্ষ্য পূরণে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন।”
- ফরিদপুর: মুখপাত্র কাজী জেবা তাহসিন অভিযোগ করেন, “আমরা আশা করেছিলাম নতুন কিছু হবে, দুর্নীতি-অনিয়ম হবে না… কিন্তু আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে সেই কমিটিগুলো আবার বহাল করা হয়েছে। এতে চাঁদাবাজির ঘটনা বাড়বে বৈ কমবে না। এ কারণে আমি এই কমিটির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখার কোনো উৎসাহ পাইনি।”
- কুড়িগ্রাম: মুখ্য সংগঠক সাদিকুর রহমান জানান, ছয় মাস মেয়াদের এই কমিটি অনেক আগেই কার্যত বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সংগঠনটির জেলা কমিটির অনেক সদস্য এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের (যেমন ছাত্রশক্তি, ছাত্রদল, গণঅধিকার পরিষদ বা ছাত্র ইউনিয়ন) সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।
প্রেক্ষাপট
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পর গত ২৭ জুলাই দেশব্যাপী সংগঠনটির সব কমিটি স্থগিত করা হয়েছিল। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর নতুন করে কার্যক্রম শুরুর ঘোষণার পরই এই তিন নেতার পদত্যাগের ঘটনা ঘটল।
