
শতবর্ষী স্টিমার পি এস মাহসুদ নতুন চেহারা নিয়ে ফিরছে নদীপথে। আগামী ১৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে চলাচল শুরু করবে এই ঐতিহাসিক জলযান। গতকাল শুক্রবার সদরঘাটে। ছবি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা।
নদীকেন্দ্রিক ঐতিহ্যের জীবন্ত প্রতীক শতবর্ষী স্টিমার পি এস মাহসুদ তিন বছর পর আবার ঢাকার নদীপথে ফিরছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) জানিয়েছে, আগামী ১৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঐতিহাসিক জলযান চলাচল শুরু করবে।
স্টিমারটি ১৯২২ সালে নির্মিত হয়েছিল। পদ্মা সেতু চালুর পর যাত্রী কমে যাওয়ায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এর চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে এটিকে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে।
নতুন রূপে মাহসুদ
- যাত্রাপথ: ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রতি শুক্রবার সকালে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং পরদিন শনিবার আবার ঢাকায় ফিরবে।
- কাঠামো ও নকশা: স্টিমারটির পুরোনো কাঠামো ও ঐতিহাসিক নকশা অক্ষুণ্ন রেখে ইঞ্জিন, নিরাপত্তা ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজানো হয়েছে।
- নতুন সংযোজন:
- ডিজিটাল নেভিগেশন–ব্যবস্থা, আধুনিক কেবিন ও পর্যটকবান্ধব ডেক।
- পরিবেশবান্ধব, কম ধোঁয়া নির্গমনকারী ইঞ্জিন।
- ভেতরে যুক্ত হয়েছে ‘হেরিটেজ কর্নার’, যেখানে বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিদের স্মৃতি, পুরোনো নেভিগেশন যন্ত্রপাতি ও ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখা যাবে।
কর্তৃপক্ষের মন্তব্য
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন জানান, “পি এস মাহসুদ কেবল একটি নৌযান নয়, এটি বাংলাদেশের নদীজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জীবন্ত প্রতীক।” তিনি আরও জানান, পি এস মাহসুদের পাশাপাশি আরও তিনটি পুরোনো স্টিমার—পি এস অস্ট্রিচ, পি এস লেপচা ও পি এস টার্ন—সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি জানিয়েছে, স্টিমারের আসনসংখ্যা ৩২৩। সংস্থাটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা, লোকসান গুনতে হলেও তা বিবেচ্য বিষয় নয়।
