
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এই অনুষ্ঠান হয়ফাইল ছবি:
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আজ মঙ্গলবার দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশ জমা দেবে।
সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি
কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া হবে নিম্নরূপ:
১. প্রথম আদেশ জারি: প্রথমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। এর ভিত্তি হবে গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়।
২. গণভোট: এরপর সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে জনগণের সম্মতি নেওয়ার জন্য গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
৩. সংসদের দ্বৈত ভূমিকা: আগামী সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি প্রথম ২৭০ দিন (৯ মাস) সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো এই সময়ের মধ্যে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করবে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- ভিন্নমত গুরুত্ব পাবে না: কমিশনের সুপারিশে বলা হবে, সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটে রাজনৈতিক দলের ভিন্নমতের বিষয়ে উল্লেখ থাকবে না। ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, তার ওপরই গণভোট হবে। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে সেই প্রস্তাবগুলোই বাস্তবায়িত হবে।
- বিকল্প সুপারিশ: ঐকমত্য কমিশন সুপারিশে একটি বিকল্পও রাখবে। এই বিকল্পে উল্লেখ থাকবে, ২৭০ দিনের মধ্যে সংসদ সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন না করলে কী হবে।
- ঐকমত্য কমিশনের বক্তব্য: ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, তাঁরা এমন বিধান রাখার সুপারিশ করবেন, যাতে রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘদিনের আলোচনা এবং গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবে রূপায়িত হয়।
জুলাই জাতীয় সনদটি ছয়টি সংস্কার কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব নিয়ে তৈরি, যার মধ্যে সংবিধান-সম্পর্কিত ৪৭টি প্রস্তাব রয়েছে।
