
জাতীয় ঐকমত কমিশন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা।
জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে একটি বিশেষ আদেশ জারি, এরপর গণভোট এবং আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই সুপারিশ জমা দেওয়া হতে পারে।
সুপারিশের মূল বিষয়
ঐকমত্য কমিশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে:
- গণভোটের ধরন: সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলের ভিন্নমতের বিষয়ে সুপারিশে উল্লেখ থাকবে না। ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, তার ওপরই গণভোট হবে।
- বাস্তবায়ন: গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো সেভাবেই বাস্তবায়িত হবে।
- সংসদের উচ্চকক্ষ: গণভোটে সংস্কার প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে আইনসভার উচ্চকক্ষ গঠন করার সুপারিশ করা হতে পারে।
সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে গতকাল রোববার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন। সূত্রমতে, সুপারিশের খসড়া তৈরির কাজ গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে।

 
         
         
         
         
        