
এআই চ্যাটবটকে সব তথ্য দেওয়া উচিত নয়ছবি: রয়টার্স
প্রযুক্তি ডেস্ক।
চ্যাটজিপিটিসহ অন্যান্য এআই চ্যাটবটের ব্যবহার বিশ্বজুড়ে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে এসব চ্যাটবট অ্যালগরিদমভিত্তিক সফটওয়্যার, এদের মানবিক বিচারক্ষমতা নেই। ফলে চ্যাটবটের সঙ্গে অতিরিক্ত বা সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করলে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস, পরিচয় চুরি এবং আর্থিক ক্ষতির গুরুতর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
এআই চ্যাটবটকে যে সাতটি সংবেদনশীল তথ্য কখনোই দেওয়া যাবে না, তা নিচে তুলে ধরা হলো:
এআই চ্যাটবটে এড়িয়ে চলুন যে ৭ তথ্য
| তথ্যের ধরন | ঝুঁকির কারণ | 
|---|---|
| ১. ব্যক্তিগত তথ্য বা পাসওয়ার্ড | চ্যাটবটে দেওয়া তথ্য যেকোনো সময় প্রকাশ হতে পারে। তাই পাসওয়ার্ড, লগইন তথ্য বা জনসমক্ষে বলতে চান না এমন কথা লেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। | 
| ২. আর্থিক তথ্য | ব্যাংক হিসাব নম্বর বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ফাঁস হলে আর্থিক ক্ষতি বা পরিচয় জালিয়াতির ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। | 
| ৩. ব্যক্তিগত গোপন তথ্য | চ্যাটবট মানবিক অনুভূতি বোঝে না বা গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারে না। ব্যক্তিগত সম্পর্ক, পারিবারিক বিষয় বা সংবেদনশীল তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। | 
| ৪. চিকিৎসা বা ওষুধসংক্রান্ত পরামর্শ | এআই চ্যাটবট ভুল স্বাস্থ্য বা ওষুধসংক্রান্ত তথ্য দিতে পারে। ফলে রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসা পরিকল্পনায় ভুল হওয়ার ঝুঁকি থাকে। গোপন শারীরিক সমস্যার তথ্য অনলাইনে প্রকাশ পেতে পারে। | 
| ৫. ব্যক্তিগত সম্পর্কের তথ্য | চ্যাটবটের মানুষের মতো অনুভূতি নেই, তাই আবেগ বা সম্পর্কের জটিলতা বোঝার ক্ষমতা নেই। রোমান্টিক আলাপ এড়িয়ে চলাই নিরাপদ। | 
| ৬. গোপন তথ্য বা স্বীকারোক্তি | মানসিক চাপ কমাতে অনেকে ব্যক্তিগত স্বীকারোক্তি দিয়ে থাকেন। কিন্তু এসব তথ্য অনলাইনে প্রকাশের সম্ভাবনা থাকায় তা এআই চ্যাটবটকে জানানো থেকে বিরত থাকতে হবে। | 
| ৭. যেসব তথ্য প্রকাশ করতে চান না | সাধারণ কথোপকথনের এমন কোনো তথ্য চ্যাটবটে লিখবেন না, যা প্রকাশ পেলে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। | 
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ: চ্যাটবটগুলো তথ্য সংরক্ষণ করে এবং যেকোনো সময় সেই তথ্য প্রকাশ হতে পারে, তাই সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

 
         
         
         
        