‘ডিকার্বনাইজেশন ল্যাব’-এর যুগান্তকারী উদ্ভাবনের জন্য স্বীকৃতি, উপাচার্যের প্রশংসা

মোঃ আলী মোর্তজা, বুটেক্স প্রতিনিধি
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ডাইস অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন শায়ক “গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫” অর্জন করায় তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইস অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে আজ রবিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।
ডিকার্বনাইজেশন ল্যাব
ড. মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন শায়ক গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এর বিশ্বের সেরা ১০ উদ্ভাবকের একজন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। গত ২৩ অক্টোবর সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেসের কাছ থেকে তিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। ২০ মে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে তাঁর যুগান্তকারী আইডিয়া ‘ডিকার্বনাইজেশন ল্যাব’-এর জন্য তাঁকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
ড. আব্বাস উদ্দিন শায়ক জানান, “ডিকার্বনাইজেশন ল্যাবের যাত্রা শুরু হয় প্যারিস চুক্তির টার্গেট পূরণ এবং টেক্সটাইল শিল্পকে পরিবেশবান্ধব করার লক্ষ্য নিয়ে। টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিকে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক দূষণকারী শিল্প বলা হয়। এই শিল্পকে দূষণমুক্ত করাই মূল লক্ষ্য।”

উপস্থিতি ও প্রশংসা
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুটেক্সের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জি. মো. জুলহাস উদ্দিন। তিনি বলেন, “ড. আব্বাস যে বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছেন, তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাঁর কাজ ডিকার্বনাইজিং এবং ওয়েব প্রসেস নিয়ে, যা খুবই ব্যবহার উপযোগী। এই নতুন ধারণা বাস্তবে প্রয়োগ হলে বাংলাদেশের জন্য এটি বিরাট উপকার বয়ে আনবে।”
আইটিইটি’র আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এহসানুল করিম কায়সার বলেন, “ড. আব্বাসের এই সাফল্য শুধু তাঁর বা বিভাগের একক অর্জন নয়, বরং এটি বুটেক্স তথা পুরো বাংলাদেশের একটি অর্জন।”
ড. আব্বাস উদ্দিন শায়ক সকলকে প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার জন্য কেউ কাজ করে না… বরং নিজের মতো কাজ করতে করতেই কোনো এক সময় হয়তো এটি এসে যায়।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাইস অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন, যিনি আশা করেন, এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে ড. আব্বাস বাংলাদেশের টেক্সটাইল সেক্টরে একটি বড় পরিবর্তন আনবেন এবং বুটেক্সকে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাবেন।
