
মোহাম্মদ উল্যা
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের জেটির পল্টুন এলাকাকে সমুদ্র বন্দরে উন্নীত করার দাবি জানানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকাটি নৌ বন্দর হিসেবে ঘোষিত আছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় গুচ্ছগ্রাম জেটির পল্টুনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বাংলাদেশ শিল্প ও উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ২৫ দফা শিল্প ও উন্নয়নের উপস্থাপক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এই দাবি জানান।
সমুদ্র বন্দরের যৌক্তিকতা
গিয়াস উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, আগামীতে কোম্পানীগঞ্জ-সোনাগাজী নদী বন্দরকে সমুদ্র বন্দরে উন্নীত করতে হবে। তিনি যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন:
- জাহাজ চলাচলের সুবিধা: বঙ্গোপসাগর থেকে সন্দ্বীপ চ্যানেলের চওড়া প্রায় ৩ কিলোমিটার, যেখানে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী মাত্র ৬০০ মিটার চওড়া। কর্ণফুলী আঁকাবাঁকা হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে ২৫০ মিটারের বেশি লম্বা জাহাজ আসা-যাওয়া করতে পারে না। অথচ সন্দ্বীপ চ্যানেলের কোম্পানীগঞ্জ সমুদ্র বন্দরে ৫০০ বা ৬০০ মিটারের বেশি লম্বা জাহাজ একসাথে দুইটি আসা-যাওয়া করতে পারবে।
- দূরত্ব হ্রাস: সড়কপথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের দূরত্ব থেকে কোম্পানীগঞ্জ সমুদ্র বন্দরের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার কম। ফলে ঢাকার ব্যবসায়ীরা এই সমুদ্র বন্দরকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করবেন।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব
তিনি উল্লেখ করেন, ব্রিটিশ আমল বা তারও অনেক পূর্ব থেকে কোম্পানীগঞ্জ নোয়াখালীতে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সমুদ্র বন্দর ছিল। এই সমুদ্র বন্দরে আন্তর্জাতিক পর্যটক ইবনে বতুতা এসেছিলেন। ১২৮৭ সালে ইরাকের বাগদাদ থেকে বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর বংশধরসহ ১২ আউলিয়াগণ ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য এখানে এসেছিলেন।
গিয়াস উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান, তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ সমুদ্র বন্দরসহ ১১টি জেলায় ১১টি শিল্প বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য কাজ করছেন।
