
বাংলাদেশের খ্যাতিমান স্থপতি মেরিনা তাবাশ্যুম উদ্ভাবিত বিশেষ স্থাপত্যশৈলীর ‘খুদি বাড়ি’ছবি: মেরিনা তাবাশ্যুম আর্কিটেক্টসের সৌজন্যে
আব্দুল আজিজ
জামালপুর
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১: ০৯
চল্লিশোর্ধ্ব মায়া বেগম নদীভাঙনের শিকার হয়ে ১০ বার বাড়িঘর হারিয়েছেন। বছরের পর বছর বন্যা আসত, বাড়িঘরের পাশাপাশি গবাদিপশু আর ধান-চাল, কিছুই রক্ষা করতে পারতেন না। কিন্তু বিশেষ স্থাপত্যশৈলীতে তৈরি ‘খুদি বাড়ি’র কল্যাণে গত বছর বন্যায় নিরাপদেই ছিলেন।
মায়া বেগমের মতো খোরশেদ আলমের জন্যও আশীর্বাদ হয়ে এসেছে খুদি বাড়ি। তাঁর কথায়, আগে ঘরে পানি উঠলে সন্তানদের নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটাতে হতো। খুদি বাড়িতে উঠে বন্যার সময়ও ওপরের তলায় থাকতে পেরেছেন। আর মাথার ওপর এখন নিরাপদ ছাদও হয়েছে।
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় যমুনা নদীর দুর্গম চরের বাসিন্দা মায়া বেগম ও খোরশেদ আলম। প্রতিবছর নদীভাঙন ও বন্যায় জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা আর ভিটেমাটি হারানোর ঝুঁকিতে থাকা তাঁদের মতো বহু মানুষের কথা ভেবেই খুদি বাড়ি উদ্ভাবন করেছেন স্থপতি মেরিনা তাবাশ্যুম। এই বাড়ির জন্য দ্বিতীয় দফায় স্থাপত্যদুনিয়ার সম্মানজনক স্বীকৃতি আগা খান
গতকাল বুধবার বিকেলে ইসলামপুরের শিলহদ এলাকায় যমুনা নদীর দুর্গম চরে গিয়ে দেখা গেল বেশ কিছু খুদি বাড়ি। চারপাশে যমুনা নদী। তারই মাঝখানে চর। দূর থেকে দেখে মনে হয় দ্বীপ। নৌকা থেকেই দেখা যাচ্ছিল অন্য বাড়ি থেকে একদম আলাদা নকশার খুদি বাড়িগুলো।
বিশেষ স্থাপত্যশৈলীর এই বাড়ি সহজে বহন করা যায়। বেশ টেকসই ও নিরাপদও। বাঁশ, টিন ও হালকা উপকরণ দিয়ে বাড়িগুলো তৈরি করা হয়। মজবুত খুঁটির ওপর স্থাপিত হওয়ায় পানির উচ্চতা বাড়লেও বাড়ি নিরাপদ থাকে।