
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি পুরোনো। গত বুধবার দুপুরেছবি: জুয়েল শীল।
ফাহিম আল সামাদ, চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ডেন্টাল ইউনিটে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও চিকিৎসক না থাকায় দাঁতের চিকিৎসার জন্য রোগীদের এক থেকে দুই মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, উন্নত সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের সুযোগের অভাব রয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান ও পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজের দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন।
চিকিৎসার অব্যবস্থাপনা
- অপেক্ষা: মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের মতো অনেক রোগী রুট ক্যানেলের মতো চিকিৎসার জন্য এক মাস পর সময় পেয়েও চিকিৎসা নিতে পারেননি।
- অপরিচ্ছন্নতা: কনজারভেটিভ ডেন্টিস্ট্রি ওয়ার্ডের কক্ষে অপরিচ্ছন্ন যন্ত্রপাতি, ভাঙা ডেন্টাল চেয়ার ও পুরোনো সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
- জীবাণুমুক্তকরণ: ইন্টার্ন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা জানান, জীবাণুমুক্ত করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় একই যন্ত্রপাতি একাধিক রোগীর ওপর ব্যবহার করতে হয়।
- চেয়ারের অভাব: ১৩টি ডেন্টাল চেয়ারের মধ্যে ৮টি নষ্ট। বাকিগুলোর অবস্থাও ভালো নয়।
প্রধানের বক্তব্য ও কলেজের দাবি
ডেন্টাল ইউনিটের প্রধান মনোজ কুমার বড়ুয়া বলেন, ইউনিটের সরঞ্জাম অনেক পুরোনো। নষ্ট যন্ত্রপাতির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে।
ডেন্টাল ইউনিটের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৯ সালে ৬০ আসন নিয়ে। বর্তমানে ৩৫০ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছেন এবং প্রতিদিন এখানে চার শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।
- স্থানান্তর আপত্তি: নতুন কলেজের জন্য মন্ত্রণালয় হাটহাজারী উপজেলায় স্থান নির্ধারণ করলেও শিক্ষার্থীরা তাতে রাজি নন। তাঁদের দাবি, রোগীরা নগরের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে আসেন; হাটহাজারীতে স্থানান্তর করা হলে রোগীদের ভোগান্তি আরও বাড়বে।
- সাবেক প্রধানের মত: ডেন্টাল ইউনিটের সাবেক প্রধান মো. রহিম উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ডেন্টাল কলেজের নকশা অনুমোদন হওয়ার পরও নির্ধারিত স্থানে বার্ন হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি মনে করেন, বর্তমান ইউনিটকেই কলেজ হিসেবে ঘোষণা করা হলে ধীরে ধীরে উন্নয়ন সম্ভব।